পূর্ব বর্ধমানের পালসিট ফাঁড়ির ইনচার্জ সাসপেন্ড : শুরু বিভাগীয় তদন্ত

20th October 2020 7:58 pm বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমানের পালসিট ফাঁড়ির ইনচার্জ সাসপেন্ড : শুরু  বিভাগীয় তদন্ত


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তৎপরতায় হদিশ উদ্ধার হয়  হাওড়ার জগাছার স্বর্ণঋণ দান সংস্থায় ডাকাতি হওয়া সোনা ও ডাকাতদের ব্যবহৃত গাড়ির । কিন্তু পুলিশের নজর এড়িয়ে  পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই গাড়িতে থাকা সোনা লুটের ঘটনায় জড়িতরা । লুটেরারা না ধরা পড়ার  জন্য  মেমারির পালসিট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পৃথ্বিশ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করে  জেলা পুলিশ বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ।  হাওড়ার জগাছার পঞ্চাননতলায় থাকা স্বর্ণঋণ দান সংস্থায় গত শনিবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে ।সেখানথেকে প্রচুর সোনা লুটকরে লুটেরারা বাইকে চড়ে চম্পট দেয় । চার লুটেরা  মোটরবাইকে চেপে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে এইটুকু তথ্য মেলার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা নড়ে চড়ে বসেন । সিনিয়র অফিসার সহ বিভিন্ন  থানার ওসিদের  সড়কপথে নাকা চেকিংয়ে নামিয়ে দিয়ে  পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় নিজে  সবকিছু তদারকি করেন । ডিএসপি( ট্রাফিক ) আব্দুল কায়ুমও তল্লাসিতে নেমে পড়েন । নাকাচেকিং চালাকালীন বর্ধমানে  নবাবহাট মোড়ে দাড়িয়ে থাকা সাদা রংয়ের সুইফট ডিজায়ার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি ব্যাগ । সেই ব্যাগ থেকেই  মেলে স্বর্ণঋণ দান সংস্থা থেকে লুট হওয়া সোনা । ডিএসপি ট্রাফিকের নিরাপত্তা রক্ষী ওই গাড়িটি চিহ্নিত করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।রবিবার হাওড়া কমিশনারেটের  পুলিশ বর্ধমান এসে ওই সোনা ওজন করে ।  সোনার ওজন দাঁড়ায় ২৪ কেজি মতোন । সোনা উদ্ধারের সাফল্য মিললেও  লুটেরারা ধরা না পড়ায় জেলা পুলিশের মুখ পোড়ে । প্রশ্ন ওঠে পুলিশের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও নবাবহাট মোড়ের অনেক আগে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পালসিট টোলপ্লাজা কিভাবে টপকালো ওই সাদা গাড়িটি । এর উত্তর পেতে 
 পুলিশের শীর্ষ কর্তারা পালসিট টোলপ্লাজার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন । তাতে  ঘটনার দিন পালসিট ফাঁড়ির ইনচার্য পৃথ্বিশ  মণ্ডলের গা ছাড়া মনেভাব ধরা পড়ে । বিষয়টি  ভালভাবে নেন নি পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় । এতবড়  ঘটনার পরেও গা ছাড়া মনোভাব কেন , কেন লুটেরাদের ধরা গেল না এই প্রশ্নেই সাসপেন্ড করা হয়েছে  পালসিট ফাঁড়ির ইনচার্জকে  ।  পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “কর্তব্যে গাফিলতির জন্যেই ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেণ্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তও করা হবে।“ জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের অনেকে মনে করছেন ,পালসিট টোলপ্লাজ়ায় পুলিশের ভূমিকা ‘কড়া’ থাকলে ‘লুটেরারা পালাতে পারতো না ।  জেলা পুলিশের হাতেই লুটেরারা  ধরা পড়ে যেত। তা না হয়ে লুটেরারা অনায়াসে গাড়ি নিয়ে পালসিট টোলপ্লাজা দিয়ে  পালাতে সক্ষম হয়।এই বিষয়টি পুলিশ সুপার মেনে নিতে পারেন নি । তবে এতকিছুর পরেও 
সোনা উদ্ধারের বিষয়টিকে সাফল্য হিসাবেই দেখছেন  রাজ্য পুলিশের কর্তারা । পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , সোনা উদ্ধার হওয়ার জন্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশকে পুরস্কৃত করা হবে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।